উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের চোপড়ায় সালিশিসভায় মধ্যযুগীয় বর্বরতা! লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করার অপরাধে সালিশিসভা ডেকে ব্যাপক মারধর করা হয় যুগলকে। একের পর এক বাঁশের কঞ্চি দিয়ে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলা হয় যুবতীকে। তাও চলতে থাকে মারধর। সামাজিক মাধ্যমে ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই কার্যত সোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে।
এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতা তাজেমুল ইসলামের। যিনি স্থানীয় বিধায়ক হামিদুল রহমান ঘনিষ্ঠ বলেই খবর স্থানীয় সূত্রে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ভিডিও দেখেই তারা ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। চোপড়ার এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। যদিও তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। পুলিশি তদন্তে নিশ্চয়ই দোষীরা শাস্তি পাবে।